জসিম ভূঁইয়া,সময় সংবাদ.কম–
ঢাকা: গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হচ্ছে খেঁজুরের রস।এই রসটি সম্পূর্ণ আল্লাহর রহমত থেকে আসে।খেঁজুর রস একটি প্রাকিতিক উৎস।এই রসে প্রচুর পরিমান এনার্জি রয়েছে।
গাছ থেকে নামিয়ে শুধূ ছেঁকে খেঁজুরের রস পান করা যায়।খেঁজুর রস দিয়ে তৈরী হয় গুড় এই গুড়ে আয়রন বা লৌহ বেশি থাকে এবং হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করে।শীতের সকালে খালি পেটে খেঁজুরের রস দারুণ উপকারী। এতে মিঠার পরিমাণ বেশি থাকে। বিশেষ করে খেঁজুরের রস ভোরবেলায় খাওয়া ভালো।
নির্দিষ্ট একটি পাতিলে সারা রাত ধরে রস জমা পড়ে।তবে সময় যত গড়াতে থাকে, তত এর ফারমেন্টেশন বা গাঁজন প্রক্রিয়া হতে থাকে। রস যতক্ষন সময় ধরে রাখা হবে এর স্বাদ নষ্ট এবং অম্লতা বাড়ে।
দিনের বেলা রস খাওয়া ঠিক নয়। এতে বমিসহ পেটের নানা সমস্যা হতে পারে।
খেয়াল রাখতে হবে, খেঁজুরের রসে যেন কোনো পোকামাকড় মুখ না দেয়। বাদুড় বা পাখির মুখ দেওয়া রস খেলে রোগ হতে পারে।যেহেতু এটি এনার্জি ড্রিংক, তাই শরীরে শক্তি জোগাতে পরিমাণমতো রস খাওয়া ভালো।তবে রস যেহেতু খোলা অবস্থায় গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়, তাই এতে জীবাণু থাকতে পারে।তাই হালকা আঁচ দিয়ে বা ফুটিয়ে নিয়ে খাওয়া ভালো।