সময় সংবাদ বিডি -ঢাকা: অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়ছে গোটা মানবজাতি। প্রায় তিন মাসের ব্যবধানে সম্পূর্ণ বদলে গেছে গোটা পৃথিবীর চিত্র। থমকে গেছে পুরো বিশ্ব,অনেক দেশ ইতিমধ্যে,লকডাউনও করে দেয়া হয়েছে। মানুষকে ঘরের মধ্যে থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। ঘর থেকে বের হলে কোনো কোনো দেশ জেল-জরিমানার আইনও করেছে। এমন অবস্থায় বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের কেন্দ্রগুলোও হয়ে পড়েছে জনশূন্য ।
করোনাভাইরাস রুখতে বিভিন্ন দেশ তাদের ধর্মীয় কেন্দ্রগুলোসহ সব ধরনের জনসমাগমের স্থানগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। ইসলাম ধর্মের মূল কেন্দ্র এবং কেবলা পবিত্র কাবা শরীফে দৈনিক হাজার হাজার মানুষ বিচরণ করেন। কিন্তু করোনার কারণে সৌদি আরব সেটি বন্ধ করার পর কাবার সেই চিরচেনা রূপ বদলে গেছে। যেখানে সবসময় লোকে লোকারণ্য থাকতো সেখানে এখন চারদিকে শূন্যতা।
শুধু তাই নয়, রোমান ক্যাথলিক গির্জার বিশ্ব সদর দপ্তর হিসেবে কাজ করে ভ্যাটিকান সিটি। ইতালির রোম শহরের ভেতরে অবস্থিত স্বাধীন এই রাষ্ট্রের প্রধান পোপ ফ্রান্সিস। হাজার হাজার মানুষ নিয়মিত জড়ো হন তার ধর্মীয় উপদেশ শুনতে। কিন্তু করোনার জেরে সেটি এখন জনশূন্য। সম্প্রতি পোপ এ নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন এবং নিজেই রাস্তায় কিছুক্ষণ হাঁটেন।
শুধুমাত্র কাবা শরীফ বা ভ্যাটিকান সিটির অবস্থাই এমন নয়, এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের কেন্দ্রগুলোর বর্তমান অবস্থা এমনই। সব ধর্মের পন্ডিত ব্যক্তিরা ঘরে বসে সৃষ্টিকর্তার প্রার্থনা করতে বলেছেন।
সম্প্রতি চীনের উহান থেকে ছড়ানো প্রাণঘাতী করোনা এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ইতিমধ্যে প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষের। আক্রান্ত হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।
বিশ্বের কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে প্রাণসংহারি ভাইরাসটি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে, চীন ইতালি-স্পেন-ইরান।
এখন বিশ্বের অনেক দেশেই, হাসপাতালে রোগীর জায়গা না হওয়ায় স্টেডিয়াম, শপিং মলকে হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে। তারপরও রোগী সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে তারা।
বিশ্বব্যাপী প্রিয় স্বজনদের হারানোর বেদনার কষ্টে কাঁদছেন- তার প্রিয় স্বজনরা। তার সাথে ভয়ও কাজ করছে মনে,করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) আতঙ্কে ।
এমন অবস্থার পরিবর্তনের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেছেন বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরা অপরদিকে যারা কোনো ধর্মে বিশ্বাস করেন না,তারা প্রকৃতির কাছে আবেদন করছেন সব ঠিক করে দিতে।
Leave a Reply