সময় সংবাদ বিডি-ঢাকা:সম্প্রতি বাংলাদেশ করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মামলায়,জেকেজি হেলথকেয়ারের ডা.সাবরিনা শারমিন হোসেনকে আজ জামিন দেননি হাইকোর্ট।
তার জামিন চেয়ে করা আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে আজ মঙ্গলবার সকালে হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ মো.জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) মো.মনিরুল ইসলাম বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মামুন মাহবুব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) মো.মনিরুল ইসলাম।
এসময় বিচারিক আদালতে মামলটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৪৩ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।পরবর্তী সাক্ষ্যের জন্য আগামী ৬ জানুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে। সাবরিনা-আরিফুল ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু,তানজিলা পাটোয়ারী,বিপ্লব দাস,শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।
উল্লেখ্য,গত ১২ জুলাই সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জেকেজির প্রতারণা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা,ডিসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে তেজগাঁও থানায় আগেই আরিফুলের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া,জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে আরিফুলসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। গত ২০ আগস্ট একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
গত ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক লিয়াকত আলী। এ মামলার অভিযোগপত্রে সাবরিনা ও আরিফুলকে জালিয়াতি ও প্রতারণার মূলহোতা ও বাকি ছয়জনকে অপরাধে সহায়তাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
Leave a Reply