
নিজস্ব প্রতিবেদক,সময় সংবাদ বিডি- ঢাকা: করোনার ভাইরাসের জেরে চরম দুর্ভোগে চীনের মানুষ। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন। শুধু চীন নয়,বিশ্বের বেশ কিছু দেশেও ভাইরাস ছড়িয়েছে। প্রায় সব দেশই চীন থেকে আসা মানুষদের তীর্যক নজরেই দেখছে এখন। একই সঙ্গে,দেহ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত চীনা মেয়েদেরও এড়াচ্ছে মানুষ। করোনার প্রভাব পড়েছে যৌন ব্যবসাতেও।
ভারতের, নয়াদিল্লির একটি নিউজ সূত্রে জানাযায়- ভারত-সহ অন্যান্য দেশে যৌন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত চীনা মেয়েরা তাদের পরিচয় আড়াল করছে। এমনকী অন্য দেশ থেকে এসেছেন বলছেন। তাদের অভিযোগ, করোনা ভাইরাসের কারণে তাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। এমনকী বাজার এক ধাক্কায় পড়ে গিয়েছে অনেকটা।
জানা গিয়েছে, ভারতের চীনা মেয়েরা তাদের নিজস্ব প্রোফাইলে ‘চীন’ শব্দটি মুছে ফেলেছে। একজন যৌনকর্মীর মতে, তিনি তার রেট অর্ধেক করে দিয়েছেন। তারপরও খদ্দের আসছে না। তার মতে, যেহেতু করোনা ভাইরাস দেখা দিয়েছে, তাই তাদের আয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে। আর এক তরুণী জানান, ব্যবসায এর আগে এত খারাপ ছিল না।
অনেক যৌনকর্মী কয়েক বছর চীনের সঙ্গে সম্পর্কেই নেই। তবুও লোকেরা আশঙ্কা, এই মেয়েদের সংস্পর্শে এলে তারাও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।
এইদিকে করোনা ভাইরাসের প্রভাব যাতে বিস্তার লাভ করতে না পারে। এবং করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা দেশের সর্ববৃহৎ গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে সর্বসাধারণের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার (২০ মার্চ) বিকেল ৩টায় বন্ধ করে দেওয়া হয় পল্লীর প্রবেশ পথ।
শুধু তাই নয় ঢাকা শহর রাজধানী জুড়েও আনাচে কানাচে call girls দের’দেহ ব্যবসায় ও মন্দা ভাব বলে-নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন যৌনকর্মী উল্লেখ করেছেন। সূত্রে জানা যায়,ঢাকা শহর আশেপাশে’ লুকিয়ে থাকা ছোটখাটো বাসা বাড়িতে জীবন-জীবিকার তাগিদে যারা বেছে নিয়ে, ছিলেন এই পথ তারাও অনেকটা হতাশ। নেই আগের মত দেহ ব্যবসার চাহিদা। করোনা ভাইরাসের ভয় এখন আর কেউ মিলামিশা করতে আসেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়
বিশ্বের বাজারে’ থাইল্যান্ড,ইরান,সহ বেশকিছু দেশে একই অবস্থা। বর্তমানে দেহ ব্যবসায় বাজার মন্দা। এখন প্রশ্ন হল, বেঁচে থাকলেই না, মানুষ বিনোদন করবে- মেলামেশা,আনন্দ উল্লাস করবেন। এখন কি-করোনা ভাইরাসের মরবে, তোমার তো করোনা ভাইরাস থাকতে পারে, এমনটাই-নাকি মূলত বক্তব্য বর্তমান দেহ ব্যবসার বাজারের খদ্দের দের। তাই কাস্টমার/খদ্দেরের অভাবে বিশ্ব বাজারে অনেকটাই দেহ ব্যবসার মন্দা ভাব।