
ডেস্ক নিউজ,সময় সংবাদ বিডি-ঢাকা:শুক্রবার সকালে বাগদাদ বিমানবন্দরে আমেরিকার সেনার অভিযানে মারা যান ইরানের জেনারেল কাশেম সুলেমানি। বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে হামলার বড়সড় মূল্য দিতে হবে তেহরানকে এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প,আর হলও তাই ৷
দেশের বাইরে কর্মরত আমেরিকার নাগরিকদের রক্ষার জন্য সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে৷ পদক্ষেপ করা হয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই৷ তবে কে এই সুলেমানি? ৷
কে সুলেমানি? আইআরজিসি নামে পরিচিত ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের একজন কমান্ডার ছিলেন কাশেম সুলেমানি। আমরিকার সিআইএ ও ইজরায়েলের মোসাদের হিটলিস্টে শীর্ষের দিকে ছিলেন এই জেনারেল কাসেম। ইরানে তার অনুগামীরা তাকে ডাকত হাজি কাশেম নামে। শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়,সারা বিশ্বেই যুদ্ধ ও চোরাগোপ্তা হামলা চালোনের ক্ষেত্রে তার নাম ছিল বেশ।
ইরানের যেকোনও সামরিক কর্মকর্তার ওপরে ছিলেন সুলেমানি আদতে কুদস ফোর্সের সর্বেসর্বা জেনারেল কাসেম সুলেমানি অলিখিতভাবে দেশটির যেকোনও সামরিক কর্মকর্তার ওপরে ছিলেন। আর এই কারণেই আমেরিকা তাকে হত্যা করার পর প্রতিশোধের হুঙ্কার শোনা গিয়েছে ইরানের গলায়। প্রায় ২২ বছর আগে কুদস্ ফোর্স তৈরি করেছিলেন সুলেমানি।
অপ্রচলিত যুদ্ধের জন্য তৈরি একটা বৃহৎ ‘স্পেশাল অপারেশান ইউনিট’ বলা যায় একে। ইরানিরাও কুদস ফোর্স-এর সংখ্যা ও সামর্থ্য নিয়ে সামান্যই ওয়াকিবহাল আয়াতুল্লাহ খামেনির কাছে শুধু জবাবদিহি করতেন এই বাহিনীর পুরো কাজকর্মের জন্য সুলেমানি জবাবদিহি করতেন শুধু আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কাছে।
এই বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে লেবাননের হিজবুল্লাহ, ফিলিস্তিনের হামাস ও ইসলামিক জিহাদ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ফাতেমিয়ুন আর জাইনাবিয়ুন নামের জঙ্গিগোষ্ঠী এবং ইয়েমেনের হুদিরা। এর বাইরে সিরিয়া-ইরাকে শিয়াদের অনেক প্রশিক্ষিত বাহিনী রয়েছে কুদস ফোর্স-এর অধীনে।
বহু দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত ছিলেন সুলেমানি অন্তত ১৫-২০টি দেশে সরাসরি কিংবা সীমিত পরিসরের ইজরায়েল,যুক্তরাষ্ট্র,সৌদি আরব, আরব আমিরসাহী সহ বিভিন্ন দেশের স্বার্থের বিপরীতে এতদিন ধরে লড়াই করছে সুলেমানির এই বাহিনী।
সৌদি আরব তার তেলক্ষেত্রে অজ্ঞাত উৎস থেকে পরিচালিত এ রকম এক অভিযান দেখেছে গত ১৪ সেপ্টেম্বর যখন আরামকোর তৈল শোধনাগারে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছিল। এই ঘটনার পর বিশ্ব অর্থনীতির উপর বেশ প্রভাব পড়েছিল।