সময় সংবাদ বিডি-ঢাকা: এবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এ বছর দেশবাসী অন্যরকম ঈদ পালন করেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদগুলোতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ শেষে কোলাকুলি আর হাত মেলানো থেকে বিরত ছিলেন মুসল্লিরা। কুশল বিনিময় হয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। ইতিহাসের পাতায় সারা বিশ্ব সহ বাংলার বুকে এ-এক নজিরবিহীন ঘটনা।
এইদিকে ঘূর্ণিঝড় ও করোনায় ভয়াল থাবায়, এবার উপকূলের মানুষের মাঝে ছিল না- ঈদ আনন্দ। বাড়িঘরে পানি জমে থাকা দুর্গত সব মানুষের ঈদ নিয়ে প্রায় একই রকম অনুভূতি। ঘূর্ণিঝড় আমফান আর করোনাভাইরাসের কারণে বাগেরহাটের উপকূলবর্তী এলাকায় দুর্গতদের মধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতরের কোনো আনন্দ-উৎসব দেখা যায়নি। শরণখোলা ও মোংলায় নদী পাড়ের গ্রামের মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে এখনও পানি জমে আছে। ভাটায় পানি নামলেও জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে যাওয়া বাঁধের ফাঁক দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে গ্রামগুলোতে।
তবে ইতিমধ্যে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নানা ধরনের ঈদসামগ্রী বিতারণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান,ঘূর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারিভাবে নানা ধরনের মানবিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে ৩০০ মেট্রিক টন চাল এবং ১০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর নির্মাণের জন্য ঢেউটিন এবং নগদ টাকা দেয়া হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।
এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় আমফান উপকূলে তাণ্ডব চালিয়েছে। ঝড়ে বাড়িঘর,গাছপালা,ফসল, মাছের ঘের,রাস্তাঘাট ও গ্রামীণ অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে ক্ষতি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, বাগেরহাটে ৪ হাজার ৩৪৯টি বাড়িঘর আংশিক এবং ৩৭৪টি বাড়িঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার ৭৫টি ইউনিয়ন এবং তিনটি পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোট ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৫ হাজার ৩৩১ জন। জেলায় বিভিন্ন খাত মিলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪০০ কোটি টাকা।
নিউজ সূত্র: ইউএনবি।
Leave a Reply