নেপথ্যে জামায়াত-বিএনপির এজেন্ট-দীর্ঘ সময় জুড়েই বাংলাদেশ নিয়ে নেতিবাচক ইহূদি বার্গম্যান।সম্প্রতি ২০০৪ সাল থেকেই সারাবিশ্বে বিতর্কিত ভূমিকায় আল-জাজিরার,নিজস্ব প্রতিবেদক-সময় সংবাদ বিডি -ঢাকা:
২০০৯ সালের পর শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশের নানা ঘটনা নিয়ে অপপ্রচার করে চলেছে আল জাজিরা। তাদের সংবাদ পরিবেশনে বর্তমান সরকার সম্পর্কে নেতিবাচক খবর সব-সময় স্থান জুড়ে বসেছে। একই বছর তিনজন ব্যক্তির গুম হওয়ার সাথে বাংলাদেশের একজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা ও সামরিক কর্মকর্তার যোগসাজশ নিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আসলে ক্রমাগত সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতা ও মদ্দ দানের অভিযোগ রয়েছে আল-জাজিরার বিরুদ্ধে। গত ১, ফেব্রুয়ারি আরেকটি বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে আবারও আলোচনায় এসেছে।
আর এ সংবাদ এর ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ হতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছিল। তবে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের কোনো পরিকল্পনা নেই সরকারের। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এই কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল- জাজিরার নিয়ে যত আলোচনা,সমালোচনা ও বিতর্ক হয়েছে,তা বিশ্বের অন্য কোন সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রে হয়নি। ১৯৯৬- সালে কাতারের আমির আলসানি কর্তৃক প্রতিষ্ঠার সময় বিশ্বের বেশ কয়েকজন নামকরা সাংবাদিক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। যেহেতু মালিকানা রাজতন্ত্রের,তাই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম হিসেবে কোন মতবাদের সমর্থক নয়,এমন ধারণায় করাই স্বাভাবিক ছিল।
প্রাথমিকভাবে anti-establishment নীতির এই কোন মাধ্যমটি প্রশংসিত হয়েছিল। কিন্তু, ২০০৪ সাল থেকে এ গণমাধ্যমটি কে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বাংলাদেশ আল-জাজিরাকে জামায়াতে ইসলামীর মুখপাত্র হিসেবে কাজ করতে দেখা গেছে।
যুদ্ধা পরাধীদের পক্ষে প্রচারণার অংশ নিয়েছিল। এমনকি যুদ্ধাপরাধী মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায়ের পর ‘বাংলাদেশ পার্টি চিফ টু হ্যাং ফর ওয়ার ক্রাইমস’ শিরোনামে এক সম্প্রচারে ৩০, লক্ষ মানুষের শহীদ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে ব্যঙ্গ করে বলা হয় ইতিহাসবিদদের হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ৩ থেকে ৫ লাখ মানুষ মারা গেছে।
২০১৩ সালের ৫ই মে শাপলা চত্বরের ঘটনায় সাধারণ একটি কবরস্থানের ভিডিও দেখিয়ে ও বাকপ্রতিবন্ধী এক শ্রমিকের সূত্র: ব্যবহার করে হাজার হাজার লাশ দাফনের দাবি করা হয়,পরবর্তীতে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। নেপথ্যে যারা:”গতরাতে বিতর্কিত গণমাধ্যম আল-জাজিরার বাংলাদেশ বিষয়ক এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ‘অল প্রাইম মিনিস্টার্স ম্যান’ শিরোনামে তথাকথিত এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটির প্রাপ্তি ১ ঘন্টার কিছু বেশি।
একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এত দীর্ঘ কলেবরের প্রতিবেদনে কিছু হাওয়াই অভিযোগ নিয়ে চর্চা করা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডার জন্যই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রামাণ্যচিত্রে যেসব অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে,তা একজনের বরাতে তিনি হলেন সামি। চাতুর্যের সঙ্গে তাঁর পুরো নাম এবং পরিচয় গোপন করা হয়েছে সামির। সামির পুরো নাম সামিউল আলম।
২০০২ সালে ইউরোপিয়ান সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের অন্যতম বিজনেস পার্টনার। হাওয়া ভবনে তারেক রহমানের অন্যতম সহযোগী। ২০০৭ সালে ওয়ান- ইলেভেনে মোস্ট ওয়ান্টেড দুর্নীতিবাজদের অন্যতম। তার বক্তব্যেই এই প্রামাণ্য চিত্রের মূল উপজীব্য। তিনি নিজেই একজন জালিয়াত এবং দুর্নীতিবাজ। এই প্রামাণ্যচিত্রের দুজন বক্তব্য করেছেন একজন বিতর্কিত নেত্র নিউজ এর তাস্নিম খলিল।
অন্যজন যুদ্ধপরাধীদের এজেন্ট এবং তারেক রহমানের বেতনভুক্ত উপদেষ্টা ডঃ কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যান। এদের বক্তব্য থেকেই বোঝা যায় এরা সরকারবিরোধী প্রোপাগান্ডা মিশনে নেমেছে। ই প্রামাণ্যচিত্রে আরো কয়েকজনের কণ্ঠস্বর শোনা যায়। যিনি তার চেহারা দেখান নি তিনি হলেন কনক সারওয়ার। সারওয়ার সরাসরি তারেকের কর্মচারী। লন্ডনে পলাতক আসামি তারেক রহমানের নির্দেশেই প্রপাগান্ডার মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা বলে অনেকেই মনে করছেন।
কে এই বার্গম্যান: ভিডিওটাতে যাদের মুখ্য ভূমিকায় দেখা গেছে তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন যুদ্ধাপরাধীদের এজেন্ট এবং তারেক রহমানের বেতনভুক্ত উপদেষ্টা ডেভিড বার্গম্যান। যিনি বাংলাদেশের সংবিধানে প্রণেতাদের মধ্যে অন্যতম ড কামাল হোসেনের জামাতা। ডেভিড বার্গম্যান হলেন সেই লোক, যিনি প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সাংবাদিকতা করেন এবং বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করাই যার মূল লক্ষ্য।
বার্গম্যান মূলত নিজেকে পরিচয় দেন একজন বৃটিশ সাংবাদিক হিসেবে। যিনি অনেক বছর বাংলাদেশে অবস্থান করেছেন এবং একটি বিশেষ শ্রেণীর এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতা বিরোধী অপরাধে সরাসরি জড়িতদের বিচারের বিরোধিতা করে নিজের ব্লগে লেখালেখি করে তিনি আলোচনায় এসেছিলেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা সহ সব ধরনের অপকর্মে সম্পৃক্তদের বিচার শুরু হলে তা নিয়ে নেতিবাচক লেখালেখিও করেন বার্গম্যান।
তার লেখার মূল উদ্দেশ্য ছিল এই বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা। অধিকাংশ লেখাতেই তিনি শুধু সেসব মানবতা-বিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্তদের বিচারের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করেছেন, যারা বিএনপি এবং জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আর এটা সবাই জানে মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াত ছিল পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর প্রধান সহযোগী যাদের সহযোগিতায় পাকিস্তানিরা এদেশে গণহত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে। এদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর থেকেই লেখালেখি শুরু করেন বার্গম্যান এবং ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর তিনি এ বিষয়ে সর্বশেষ লেখা লিখেছেন। এ বিচার প্রক্রিয়া কিন্তু এখনো চলছে। তবে বার্গম্যান আগে যেমন সক্রিয়ভাবে বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য লিখতেন, এখন আর লিখছেন না।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের সরাসরি জড়িত বিচারের বিরোধিতা করে নিজের ব্লগে লিখেলেখি করে তিনি আলোচনায় এসেছিলেন।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়, গণহত্যাসহ সব ধরনের অপকর্মে লিপ্ত তাদের বিচার শুরু হলে তা নিয়ে নৈতিবাচক লেখালেখি করেন বার্গম্যান-তার লেখার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা। অধিকাংশ লেখাতেই তিনি শুধু সেসব মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত বিচারের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করেছেন,যারা বিএনপি এবং জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
আর এটা সবাই জানে, মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াত ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান সহযোগী তাদের সহযোগিতায় পাকিস্তানিরা এ দেশে গনহত্যাহস বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে।
এদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর থেকেই লেখালেখি শুরু করেন বার্গম্যান এবং ২০১৬ সালের,৪ অক্টোবর তিনি এ বিষয়ে সর্বশেষ লিখেছিলেন। এ বিচার প্রক্রিয়া কিন্তু এখনো চলছে । তবে বার্গম্যান আগে যেমন সংক্রিয় ভাবে বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য লিখতেন, এখন আর লিখছেন না।
কিন্তু কেন..? তার এত আগ্রহ উদ্যম হঠাৎ থেমে গেল কেন? কারণ পরিষ্কার। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত বিএনপি ও জামায়াতের যেসব নেতা অভিযুক্ত ছিল তাদের অধিকাংশেরই বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তাই এরপর থেকে তিনি আর এ বিষয়ে স্বয়ংক্রিয় নয়।
এতেই বোঝা যায়,তিনি এ মুক্ত_ সাংবাদিকতা ছদ্দবেশী নৈতিবাচক প্রচারণা চালিয়েছে এবং এর জন্য তিনি বিশেষভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন। নিজের লেখা ব্লগে বার্গম্যান এটাই দাবি করেছেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আসলে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়নি। তার দাবি, এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ লাখ! কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বার্গম্যানের এ দাবির তুলনায় শহীদদের সংখ্যা ছিল ১০ গুণ । এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন, মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রটি শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।
এ চক্রটি নিজেদের ঘৃণা অপরাধ ঢাকার জন্য শুরু থেকেই স্বপ্রণোদিতভাবে শহীদদের সংখ্যা কমিয়ে বলার চেষ্টা করে আসছে। ডেভিড বার্গম্যান তাদের হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে এবং সরকারের বিব্রত করার চেষ্টা করছে। এমনকি বিচারাধীন বিষয়ে উস্কানি ছড়ানোর দায়ে এক পর্যায়ে আদালত থেকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং শহীদদের বিকৃতির দায়ে ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ তাকে অভিযুক্ত করে।
স্বঘোষিত অনুসন্ধানী সাংবাদিক বার্গম্যানকে চিহ্নিত করতে চাই,তাহলে তাকে একজন ফরিয়া বা দালাল ছাড়া আর কোন উপায় নেই। শুনতে বেখাপ্পা লাগলেও এটাই সত্য। নির্মম বাস্তবতা এটাই, বার্গম্যান
মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে একটি বিশেষ শ্রেণীর এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন। এমনকি নিজে ব্লক ছাড়া ডিবি পলিটিকো নামে আরও একটি ব্লগ পরিচালনা করেন, যেখানে তিনি বিভিন্ন পক্ষে ফুক ফরমায়েশ হিসেবে আর্টিকেল লিখেন। এ ব্লকের তার লেখার অন্যতম বিশেষ গুলো হলো- বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের পরিবারকে আক্রমণ করা এবং দেশের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনীকে নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়ানো।
এই তথাকথিত সাংবাদিক নিজেকে নিরপেক্ষ দাবি করলেও তার ব্যক্তিগত পরিবারের পরিচয় সম্পর্কে জানা প্রাসঙ্গিক। তিনি ডা, কামাল হোসেনের জামাতা। আর এই ডা, কামাল হোসেন বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় জোট বিএনপি জামায়াতের প্রধান সমন্বয়ক। এই কারণেই বিএনপি- জামাতের রাজনীতিতে যুক্ত এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়ে দীর্ঘ সময় লেখালেখি করে বিভ্রান্ত ছড়িয়েছেন বার্গম্যান।
অপরাধীদের বিচার নিয়ে আক্রমণাত্নক প্রচারণার জন্য আন্তর্জাতিক লবিংয়ের এর জন্য মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করা হয়েছে,বিশেষ করে ওয়াশিংটনও লন্ডনে,এসবের সঙ্গে তিনি জড়িত। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, জামায়াত নেতা মীর কাসেম, যে পরবর্তীতে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে, তিনি নিজেকে বাঁচানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েকে মিস করতেই ২৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।
এই বার্গম্যানের রাজনৈতিক যোগাযোগ এতোটাই ঘনিষ্ঠ যে, তা চাইলেও অস্বীকার করার উপায় নেই। এমনকি লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের সঙ্গেও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করতে দেখা গেছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় অপেশাদার ও ঔদ্ধত্য আচরণের জন্য, দ্য নিউজ এজ পত্রিকা এবং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম থেকে চাকরি ছাড়তে হয়েছে ডেভিড বার্গম্যানকে। তার বিরুদ্ধে সাংবাদিকতার এথিক্সের তোয়াক্কা না করার অভিযোগ ছিল। শুধু এই কারণেই গণমাধ্যমে অযোগ্য হয়ে পড়েন তিনি। এরপর বিদেশে অবস্থান করা কিছু নামধারী সাংবাদিকদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এরপর একটি নেত্র নিউজ নামে আরেকটি গুজব সাইটে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের এবং নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে অপপ্রচার শুরু করেন।
যা বলবো- আইএসপিআর:কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত প্রতিবেদনটি সাজানো।
এবং দূরভিসন্ধি মূলক। কল্পনাপ্রসূত ও অসৎ উদ্দেশ্য প্রচারিত এই প্রতিবেদন সম্পর্কে সেনা সদর দপ্তর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা এই প্রতিবেদনটি সাম্প্রতিক সময়ের কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল কর্তিক দেশকে অস্থিতিশীল করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার একটি অপপ্রচার- মাত্র- এবং অসৎ উদ্দেশ্য মূলক অপপ্রচার করা হয়েছে বললেই চলে।
প্রতিবেদনটি তৈরি কুশীলব হলেন,ডেভিড বার্গম্যান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক দণ্ডিত একজন অপরাধী। জনাব জুলকারনাইন সায়ের খান (স্বামী ছদ্মনামধারী) মাদকাসক্তির অপরাধে, বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি হতে বহিস্কৃত একজন ক্যাডেট এবং জনাব তাসনিম খলিল অখ্যাত নেত্র নিউজ এর প্রধান সম্পাদক।
অসৎ ও কুলুষিত চরিত্রের অধিকারী এসকল স্বার্থ স্বার্থ স্বার্থন্বেষী ব্যক্তিবর্গ পূর্ব থেকেই তাদের নিজেদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে বাংলাদেশে বিরোধিতা কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে।আল-জাজিরার মতে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সাথে মূলধারা সাংবাদিকতা থেকে বিচ্যুত ওঅসভ্য চিন্তা ধারায় এসকল ব্যক্তিবর্গের যোগসাজেশের বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত ও বোধগম্য নয়।
দেশের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাগণের বিভিন্ন-দাপ্তরিক,সামাজিক এবং ব্যক্তিগত কার্যক্রমের বিভিন্ন ক্লিপ ও ছবি চতুর্যের সাথে সম্পাদনা, এবং অডিও সংযোগ করে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে প্রকাশিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তিক ইসরায়েল থেকে ইন্টারনেট ও মোবাইল মনিটরিং সরঞ্জামাদি ক্রয় সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্যের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে প্রকাশিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক ইসরায়েল থেকে ইন্টারনেট ও মোবাইল মনিটরিং সরঞ্জামাদি ক্রয় সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্যের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।
প্রকৃতপক্ষে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ব্যবহারের জন্য হাঙ্গরির একটি কোম্পানি থেকে ক্রয় কৃত সিগন্যাল সরঞ্জামাদি,উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে ইসরায়েল থেকে ক্রয় সিগন্যাল সরঞ্জামাদিকে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে ইসরায়েল থেকে আমদানিকৃত মোবাইল মনিটরিং প্রযুক্তি হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
ক্রয়কৃত সরঞ্জাম কিংবা এ সংক্রান্ত কোন নথিপত্রেই এগুলো ইসরায়েলের তৈরী বলে উল্লেখ নেই। এখানে উল্লেখ যে, বাংলাদেশের সাথে ইসরাইলের কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় উক্ত দেশ থেকে প্রতিরক্ষা সামরিক কিংবা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা গ্রহণের কোনো অবকাশ নেই।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদনটিকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিভেদ ও দূরত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টি একটি অপপ্রচার-হিসেবে মনে করে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বর্তমান চেইন অব কমান্ডের অধীনে থাকা একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী যারা দেশের সংবিধান এবং সরকারের প্রতি সর্বদা অনুগত। এবং বাংলাদেশের সেনাবাহিনী দেশের সরকারের প্রতি অবচিত শ্রদ্ধাশীল থেকে দেশ উন্নয়ন ও সেবায় নিয়োজিত থাকার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ।
মিথ্যা তথ্য ছড়ায় আল জাজীরা: জঙ্গিবাদ উসকে দেওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সরকারি বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন নিয়ে বিভিন্ন সময় বিতর্কিত হয়েছেন কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজীরা। নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কোটি কোটি টাকা খরচেরও অভিযোগ রয়েছে এই গণমাধ্যমটির বিরুদ্ধে। এছাড়া সরকারি টাকায় বিভিন্ন দেশের সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আক্রমণের অভিযোগ রয়েছে আল-জাজিরার বিরুদ্ধে। আল-জাজিরা প্রতিষ্ঠার পর থেকে একের পর এক বিতর্কিত জন্ম যাচ্ছে । তাছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশের সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ভুয়া খবর ছড়ানোর অভিযোগ পুরানো, এই কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।
[সময় সংবাদ বিডি ঢাকা বাড্ডা]
Leave a Reply