সময় সংবাদ বিডি-
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেদারসে চলছে অসংখ্য চা দোকান। এমনকি প্রশাসনের আসার খবর পাওয়া মাত্র দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যাচ্ছে চা দোকানিরা। ফের পুলিশ চলে যাওয়া মাত্র আবার এসে দোকানে চা বিক্রেতা শুরু করছে দোকানিরা।
আর এতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুকি চরম আকার ধারণের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে অত্র এলাকায়।
এলাকার সচেতন মহলের অনেকেই সময় সংবাদ বিডিকে বলেন, প্রতিদিন সকাল ৬টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত হাতিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ও বিভিন্ন গ্রামে বেশিরভাগ সময় খোলা থাকছে চা দোকান। প্রশাসনের লোক আসতে দেখলে তারা বন্ধ করে চলে যায়।আবার প্রশাসনের লোক চলে গেলে পুনরায় দোকান খুলে ফেলে।
যার কারণে সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা একেবারেই হচ্ছেনা। এতে করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশংকা করছেন তারা।
এসময় তারা দোকানগুলো চিহ্নিত করে বলেন, আজমার সাকোর কিনারে ৩টি চা দোকান, পশ্চিম ক্ষিরোদিয়া বেড়ির উপরে ৪টি দোকান, হেইন্যাগো বাড়ির ভিতরে ৪টি দোকান, বাহার মিয়াগো বাড়ির সামনে ১টি এবং হাবিবুল্লাহ মিয়াগো বাড়ির কাছে ২টি দোকান খোলা থাকছে। এছাড়াও মাইজদি বেড়ির উপরে ২টি, বাংলাবাজার ২টি, তালতলা ২টি, ভবের বাজার ২টি ও সেকু মার্কেটে ২টি দোকান খোলা থাকছে। আর এভাবেই বিভিন্ন গ্রামের ভিতরে খোলা রাখা হচ্ছে চায়ের দোকান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলেন যদি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তার চৌকিদার বাহিনীকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে প্রশাসনকে সঠিক সময়ে তথ্য দেয় তাহলেই কেবল দোকানগুলো বন্ধ করে দেয়া সম্ভব হবে। আর তাতে আমাদের করোনা সংক্রমণের ঝুকি একেবারেই কমে যাবে বলে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
Leave a Reply