জাহাঙ্গীর আকন্দ টঙ্গী,সময় সংবাদ বিডি- ঢাকা:গাজীপুরে পুবাইলে নামধারী ছাত্রলীগের হামলার শিকার এক ব্যবসায়ী।
গাজীপুরের পূবাইল মিরের বাজার এলাকার বসুগাঁও গ্রামের মিজানুর রহমান গাজীর ছেলে রাসেল গাজী জানান, আমি দীর্ঘদিন যাবত পূবাইল মিরের বাজারে গ্লাস ও থাই এ্যালুমিনিয়ামের ব্যবসা পরিচালনা করে আসিতেছি।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ৮ঘটিকার সময় আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে মিরের বাজার চৌরাস্তা দক্ষিণ পূর্ব পাশে র্পৌঁছলে ৩/৪জন লোক এসে আমার পথগতিরোধ করে এবং উশৃঙ্খল ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে এবং বলে আকবর ভাই তোকে যেতে বলেছে।
আমি বললাম ভাই কি হয়েছে, এ কথা বলতেই আমাকে জোরপূর্বক আকবরের দোকানে টেনে হেঁছড়ে নিয়ে যায়। সেখানে থাকা আলী আকবর আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এক পর্যায় উত্তম হিমাংশ তাহার হাতে থাকা লোহার রট দিয়ে আমার মাথার বরাবর হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করলে আমি আমার ডান হাত দিয়ে ফিরানোর চেষ্টা করলে লক্ষভ্রষ্ট হয়ে ডান হাতের কব্জিতে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হই। অপু হত্যার উদ্দেশ্যে আমার গলা টিপে ধরে। হাবিব কাঁঠের চেলা দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করলে আমি গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হই।
এ সময় আমার কাছে থাকা নগদ ১লক্ষ ৫৫হাজার ৯শত টাকা ও একটি মোবাইল ফোন যাহার মূল্য ২৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় আমার ডাকচিৎকারে স্থানীয় জনতা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমি এই ঘটনার বিষয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ন্যায় বিচারের স্বার্থে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পূবাইল থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করি।
অভিযোগের সূত্র ধরে পূবাইল থানার এসআই ওমর ফারুক অভিযুক্ত আকবর ও উত্তম কে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থানায় আটক করে। পরবর্তী সময় মামলা রুজু না করে আসামীদেরকে ছেড়ে দেয়। আমি ন্যায় বিচারের স্বার্থে থানায় বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ করে এযাবতকাল মামলাটি এজাহার হিসেবে গন্য করতে পারি নাই। থানায় বিষয়টি মিমাংশা করে দিবে বলে আমাকে সময় কালক্ষেপন করিতেছে।
এ বিষয়ে পূবাইল থানার এসআই ওমর ফারুকের সাথে প্রতিবেদকের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি আসামী ধরেছি, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মী, সচিব, আমলাদের তদবির আছে। আপনি থানার ওসির সাথে কথা বলেন।
এ বিষয়ে পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজমুল হক জানান,সময় সংবাদ বিডিকে,জানান অভিযোগের বিষয় আমার অবগত আছি। আগামীকাল ২০ ফেব্রুয়ারি থানায় বসে বিষয়টি মিমাংশা করার কথা আছে। আসামী ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
Leave a Reply