সময় সংবাদ বিডি-ঢাকা: মিয়ানমারে সরকারি কর্মচারীদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে সামরিক প্রশাসকরা অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার দিয়েছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও ধর্মঘট শিথিলের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম-বার্তা সংস্থা রয়টার্স সূত্রে:জানা যায় মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে চলমান গণতন্ত্রপন্থিদের সিভিল ডিজঅবেডিয়েন্স মুভমেন্ট (সিডিএম) দমাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে জান্তা প্রশাসন। কর্মচারী-কর্মকর্তাদের ধর্মঘটের মুখে দেশটির সরকারি দফতরগুলো অচল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে।
অন্যদিকে,পয়লা ফেব্রুয়ারির ওই সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে গণতন্ত্রপন্থি বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার দায়ে এখন পর্যন্ত অন্তত পাঁচশ বেসামরিক নাগরিককে গ্রেফতার করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তাছাড়া,আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ইয়াঙ্গুনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তায় কয়েক ডজন গণতন্ত্রপন্থি জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অন্য জায়গায় ফের জড়ো হওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
এর আগে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মানডালায় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া রেল কর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি ছুড়েছে। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা ট্রেন চলাচলে বাধার সৃষ্টি করলে পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হয়। দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি চালায় — বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটাই জানিয়েছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী।
এইদিকে,মিয়ানমার থেকে প্রকাশিত দ্য ইরাবতির খবরে বলা হয়েছে,পূর্ববতী জান্তা প্রশাসন বল প্রয়োগ বা রক্তপাতের মাধ্যমে বিক্ষোভ দমন করলেও এবারের পরিস্থিতি তুলনামূলক শান্তিপূর্ণই আছে। কিন্তু, আন্দোলনের পদ্ধতিগত অভিনবত্বের কারণে সরকারি দফতরগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। বলে মিয়ানমার থেকে সংবাদদা তারা জানিয়েছেন।
Leave a Reply