কবিতা:
যেমন যেখানে’ছিলে তুমি!
পুরোনো ডাইরি হারিয়ে হাহাকার করো না”হাতের কাছে যা আছে,
লিখতে শুরু কর’দেখবে,সেই আগের ছন্দেই শব্দেরা নাচবে।
অনন্তকাল পেড়িয়ে যাবে তোমার কর্মে তুমিই বাঁচবে মৃত্যু সেতো রবেই জন্মান্তরের সত্যে,
তবু সে কি পারে কেড়ে নিতে
জীবন যা দিয়েছিল আড়ালে বা প্রকাশ্যে।
সূর্যাস্তের লাল আভায় তুমি দেহখানি রাঙাতে চেয়েছিলে,
পারলেনা তো ! দুঃখ কিসের ?
জোর করে জয় করা যায় না
ভালোবাসায় তো ক্যাকটাসেও ফুল ফুটে,
হাজারো মিথ্যা দিয়ে ঘর সাজিয়ে লাভ কি।
ক্ষোভের দাবানলে স্বপ্নগুলো কেন পোড়াও ?
ওদের ঝর্নার মতো বয়তে দাও
দেখবে,একদিন ঠিক কোন স্রোতের দিশা সে পাবেই।
মনে রেখো তুমি এক টুকরো সুখেই তো ঘর আলোকিত হয়,
আঘাত করে শোধরানো কি যায় ?
একটু গুছিয়ে দিলে কি এমন ক্ষতি হয় বলো।
দূরের কামিনীর সুবাসে কেমন যেন আত্মশুদ্ধি হয়ে যায়,
সমুদ্র স্নানে”যাওয়া হয়নি এই প্রহরে
শিশির ভেজা ঘাসে চরণ দুটো ছোঁয়াও মন প্রাণ শিহরিত হবে।
তুমি একটি রাত জাগলেই তার উদিত মুখখানা দেখবে,
তখন না হয় তোমার হৃদয়টা নিংড়িয়ে নিও।
সেই ফুলদানিতে রাখা গোলাপ মূর্ছে গেছে
বিমর্ষ কেন তুমি ?
কেনো এইবা তোমার এই বুক ভরা নিশ্বাস।
এখন সময় বড় কঠিন ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠে বুক,
ভালোবেসে যাও”এতে আছে স্বর্গীয় সুখ।
জসীম ভুইয়া।।
Leave a Reply