সত্যিই অবাক হলাম একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হয়েছে: রাজাকারের নাম।
(জসিম ভুইয়া)সময় সংবাদ BD-ঢাকা: সরকারি জমিতে বেসরকারি স্কুল-তার উপরে আবার রাজাকার সিরাজ মিয়ার নাম। সত্যিই অবাক হলাম,বিবেকের আদালতে লজ্জিত আমি আজ ক্ষতবিক্ষত প্রাণ। একটি স্বাধীন দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রয়েছে রাজাকারের নাম।
গোল্ডেন মনির,রাজউক থেকে নামমাত্র টাকায় স্কুল নির্মানের জন্য জমি বরাদ্ধ নিয়েও সেখানে রাজউকরের নাম ব্যবহার না করে তার পিতা রাজাকার সিরাজ মিয়া মেমোরিয়াল স্কুল’ নাম করণ করা হয়। যা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মাটির সাথে ধূলিস্যাৎ করে দিচ্ছে বলে আমি মনে করি।
রাজধানীর মেরুল বাড্ডা, সিরাজ মিয়া মেমোরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়টি ছিল গোল্ডেন মনিরের শিক্ষার নামে অর্থ-বাণিজ্য করার আরও এক নয়া কৌশল। যদিও,রাজউকের শর্ত অনুযায়ী এলাকার সাধারণ মানুষের ছেলে-মেয়েদের স্বল্প খরচে পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়ার কথা থাকলেও মূলত প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে আদায় করা হতো মোটা অঙ্কের টাকা। এমনকি স্থানীয় এলাকাবাসী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা স্কুলটির নামকরণের বিরোধিতা করেও মনিরের ক্ষমতার কাছে পরাস্ত হন।
এলাকার স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতিবছর ভর্তির সময় ১২ হাজার ৩০০ টাকা এবং মাসিক বেতন হিসেবে ১ হাজার ৮৫০ টাকা আদায় করা হয়তো, যা ওই প্লট বরাদ্দের শর্তের পরিপন্থী। ফলে এ এলাকার মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের স্বল্প খরচে শিক্ষা প্রদানের সুযোগ অধরাই রয়ে গেছে।
অপরদিকে সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে দুর্নীতিবাজ গোল্ডেন মনির স্কুলকে বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। গোল্ডেন মনির শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হবার পর,সরজমিনে অনুসন্ধান করে এবং স্থানীয় এলাকাবাসী ও স্কুলে পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীর সাথে কথা বলে,জানতে পারেন সময় সংবাদ BD ।
অন্যদিকে, স্কুলের বেতন কমানো রাজাকারের নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে, স্কুলের নাম পরিবর্তনের করার দাবিতে,দুই দিন আগে মেরুল বাড্ডা প্রগতি সরণি ডিআইটি প্রজেক্টের সামনে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
উল্লেখ্য যে,মেরুল বাড্ডা দক্ষিণ বারিধারা র্আবাসিক পুনর্বাসন প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জনস্বার্থে একটি মসজিদ, একটি বিদ্যালয়,একটি কলেজ ও একটি খেলার মাঠের জন্য রাজউক জমি বরাদ্দ দেয়। কিন্তু দুর্নীতিবাজ, সোনা চোরাকারবারি, কুখ্যাত রাজাকার মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে গোল্ডেন মনির কৌশলে’একজন রাজাকারের নাম এই স্কুলটি নামকরণ করেন। সেই রাজাকারূ নাম হল সিরাজ মিয়া,সেই সূত্র ধরেই স্কুলটির নাম হয় সিরাজ মেমোরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়।
সম্প্রতি,২০০৯ সালে স্কুলটির নাম থেকে রাজাকারের নাম বাদ দিয়ে অন্য নাম দেওয়ার জন্য, তৎকালীন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান এবং শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আজ ও রহস্যজনক কারণে দীর্ঘ ১১ বছরেও এর কোনো সুরাহা হয়নি। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো,জনস্বার্থে গরীব ও অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষ যাতে অল্প খরচে স্কুলে পড়ালেখা করতে পারে সেই সুযোগ করে দেয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
জনস্বার্থে “জসিম ভুইয়া”ব্যবস্থাপনা পরিচালক,সময় সংবাদ BD-ঢাকা বাড্ডা।
Leave a Reply