ডেস্ক নিউজ, সময় সংবাদ বিডি-
রাজশাহীঃ রাজশাহীর মোহনপুরে আলোচিত এসএসসি পরিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষককে লাঞ্চিত করার ঘটনায় বহিরাগত দুই শিক্ষার্থীর এক বছরের বিনাশ্রম সাজা হলেও এখনো প্রকাশ্যে দেখা যায়নি অনাকাংখিত এ ঘটনার নেপথ্যে জড়িত কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সেই জুনিয়র শিক্ষক মাসুমের।
ঘটনার পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। শিক্ষক মাসুমের সাথে অনেক চেষ্টা করেও তার কোন হুদিস পাওয়া যায়নি। সন্ধান মেলেনি তার। এমনকি ব্যবহৃত মুঠো ফোন নাম্বার সারাক্ষন বন্ধই থেকেছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে মাসুম আত্ব গোপনে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
তবে আজ রবিবার পরিক্ষাকেন্দ্রে নির্ধারিত সময়েই পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানান কেন্দ্র সচিব শফিকুল ইসলাম। এসময় তিনি সময় সংবাদ বিডিকে জানিয়েছেন, ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা থেকে আমরা একেবারেই সংকা মুক্ত। যদিও তিনি কেশরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
তাই এব্যাপারে কোন দুশ্চিন্তার কারন নেই উল্লেখ করে তিনি সকল দ্বায়িত্বরত শিক্ষকদের কাছে সময়মত উপস্থিত হতে অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের সাথে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। তাছাড়া ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত দুই শিক্ষকের পরিবর্তে অন্য শিক্ষককে ডিউটি দেয়া হয়েছে।
আত্ব গোপনে যাওয়া শিক্ষক মাসুমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন কেন্দ্র সচিব শফিকুল ইসলাম। তিনি তাতে সফল হতে পারেননি বলে চাচার সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন প্রতিবেদককে।
তারপর মাসুমের চাচা কেশরহাট বাজারের বিশিষ্ট হোন্ডা ব্যাবসায়ী ও কেশরহাট ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ আনোয়ারুল হক হেনার সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিনি শিক্ষক মাসুমের আপন চাচা হয়েও যোগাযোগ করতে পারেননি। সে থেকেই আলোচিত ঘটনা নিয়ে জনমনে অনেকটা সংকা দেখা দিয়েছে।
কেন্দ্র সচিব জানান, এর আগেও মাসুমের উগ্র মেজাজের কারনে বিদ্যালয়ের পিওনের চাকরি টা চলে গেছে। এবারো তার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে বলে তিনি মনে করেন।
শিক্ষক মাসুমের ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রের সহকারী কেন্দ্র সচিব শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, একজন শিক্ষের জন্য কেন্দ্রের কোন ক্ষতি হোক এটা আমারা চাইনা।
তবে এঘটনার প্রেক্ষিতে আলাদাভাবে কোন পদক্ষেপ নিতে কাউকে দেখা যায়নি।
Leave a Reply